Dhaka ০১:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Breaking News :
Logo ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন: আটক-১ Logo ফরিদপুরে আদম ব্যবসায়ীর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন। Logo খুলনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাদিউজ্জামান হাদির জানাযায় আজিজুল বারী হেলাল। Logo মানিকগঞ্জে চরে বিএনপি’র ঐক্য ও শান্তি সমাবেশ Logo বিষ খাইয়ে প্রতিবন্ধী শিশু সন্তানকে মা-বাবা হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার Logo চল্লিশ বছর পর বাংলাদেশ থেকে নিজ দেশে ফিরলো নিপালী নাগরিক Logo চাঁদপুরের কচুয়ায় আগুনে পুড়ল ২০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান Logo কেরুজ চিনিকলে চাকরি স্থায়ীকরণে অনিয়মের অভিযোগ : কেরুর এমডি’কে লিখিত ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ সদর দপ্তরের: অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা Logo পাবনার ভাঁড়ারার চেয়ারম্যান সুলতান গ্রেফতার Logo চাটমোহরে উদ্যোক্তাদের তৈরিকৃত স্বাস্থ্যসম্মত সরিষার তেল বিক্রয় প্রসারে বাজার সংযোগ সভা

মিথ্যা মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মোঃ সাব্বির জমাদ্দার
  • Update Time : ০১:৫৯:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৪২৫ Time View

নড়াইল থেকে মোঃ সাব্বির জমাদ্দার :: নড়াইলের লোহাগড়ায় মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে বাচতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী মোঃ রফিকুল ইসলাম  ও তার পরিবার।শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায়  উপজেলার চর মঙ্গলহাটা গ্রামে তার নিজ বাড়ীতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন,  আমি একজন পল্লী চিকিৎসক। বিগত ২০২০ সালে আমার একমাত্র ছেলে অনিক শেখ (৩২) এর সাথে একই উপজেলার ইতনা গ্রামের চঞ্চল মোল্যার মেয়ে রানী খাতুন (২১) এর সঙ্গে মুসলিম রীতি অনুযায়ী বিয়ে হয়।

বিবাহের পর হইতে আমার ছেলের বৌ পিতার বাড়িতে থাকতে পছন্দ করে। সে আমার বা আমার স্ত্রীর সাথে কখনও ভালো ব্যবহার করে না। আমার ছেলে বেকার জীবন যাপন করে। সে কারনে দুজনের মধ্যে মাঝে মাঝে ঝগড়া বিবাদ হতো। আমার বৌ মা রানী খাতুন ৪ বছর বিবাহের মধ্যে ০৩টি সন্তান নষ্ট করেছে। আমার সংসারে সে আমাদের সাথে থাকতে চায় না। ছেলেকে নিয়ে তার পিতার বাড়িতে থাকে। আমি আমার স্ত্রী অতিকষ্টে জীবন যাপন করি। আমার বেয়াই চঞ্চল মোল্যা তার মেয়েকে নিয়ে একাধিকবার আমায় ডেকে আমাকে সহ আমার স্ত্রী সন্তানকে চাপ প্রয়োগ করে টাকা পাওয়ার দাবি করেছে। তার মেয়েকে আমার সংসারে আর দিবে না । এ বিষয়ে ইতনা বিট অফিসার এস আই মিজান সহ মল্লিকপুর বিট অফিসার সৈয়দ আলী এস আই আকিজ সালিশ বৈঠক করেছে। সেখান থেকেও আমার বৌ মাকে তারা বাড়িতে নিয়ে যায়। তখন বৌমা ০৩মাসের অন্তস্বত্বা ছিল। এরপর থেকে তাদের সাথে আমার আর কোন যোগাযোগ নেই। আমি অতি সাধারন একজন মানুষ। আমার স্ত্রী অসুস্থ এবং স্টোক করে শয্যাশায়ী। হঠাৎ করে ১৭ জানুয়ারি গভীর রাতে  লোহাগড়া থানা এস আই অমিত কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আমার বাড়িতে হানা দিয়ে আমি সহ আমার অসুস্থ স্ত্রী বীমা বেগম (৪৫)  ও আমার ছেলে অনিক শেখ কে গ্রেফতার করে। অভিজানের সময় সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার সাথে কোন মহিলা পুলিশ ছিল না।
এ সময় ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলামের সাথে মামলার বিষয় পুলিশ এস আই অমিত কুমার বিশ্বাসের সাথে বাদ-বিতণ্ডা হয়। এরপর ঐ পুলিশ কর্মকর্তা আমাদের কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় আমাদের নিকট এস আই অমিত কুমার বিশ্বাস মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন বাবদ নগদ এক লোক নগদ এক লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এরপর আমি উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে বাঁচার জন্য আমার ছোট শালিকা হাসিনা বেগমের মাধ্যমে ২ হাজার টাকা প্রদান করে। দাবেকৃত টাকা না পেয়ে পুলিশ কর্মকর্তা পুলিশ কর্মকর্তা সময়কে ফোন করে ১৮ জুনিয়ারি দুপুরের পর আমাদের আদালতে পাঠায়। বিজ্ঞ আদালত আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে জামিন মনজুর করেন।  কিন্তু আমার একমাত্র সন্তান অনিকের জামিন না মঞ্জুর হওয়ায় সে বর্তমানে জেলা হাজতে রয়েছে।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করে বলেন, বিবাদী দেওয়া মামলাটি ৪ জানুয়ারি থানায় নথিভুক্ত হয়। আমাদের গ্রেফতার করা হয় ১৭ ই জনুয়ারি। অথচ পুলিশ কর্মকর্তা পি/ও ভিজিট হল ১৮ জানুয়ারি। এটা কিভাবে সম্ভব? শুধু তাই নয়, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অমিত বিশ্বাস ঘটনাস্থলে না গিয়েই ৫ ই জানুযারি তিনি ঘটনা স্থল প্রদর্শন করেছেন মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
তিনি এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধতম কর্মকর্তার সহযোগীতা কামনা করছেন।

Tag :

অগ্রযাত্রা স্যাটেলাইট টেলিভিশন (এটিভি বাংলা) লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ২ নং শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ স্বরণী, রমনা, ঢাকা-১২১৭।
মোবাইল: ০১৬৪৬৪৪৪৫৩০

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

মিথ্যা মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

Update Time : ০১:৫৯:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৪

নড়াইল থেকে মোঃ সাব্বির জমাদ্দার :: নড়াইলের লোহাগড়ায় মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে বাচতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী মোঃ রফিকুল ইসলাম  ও তার পরিবার।শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায়  উপজেলার চর মঙ্গলহাটা গ্রামে তার নিজ বাড়ীতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন,  আমি একজন পল্লী চিকিৎসক। বিগত ২০২০ সালে আমার একমাত্র ছেলে অনিক শেখ (৩২) এর সাথে একই উপজেলার ইতনা গ্রামের চঞ্চল মোল্যার মেয়ে রানী খাতুন (২১) এর সঙ্গে মুসলিম রীতি অনুযায়ী বিয়ে হয়।

বিবাহের পর হইতে আমার ছেলের বৌ পিতার বাড়িতে থাকতে পছন্দ করে। সে আমার বা আমার স্ত্রীর সাথে কখনও ভালো ব্যবহার করে না। আমার ছেলে বেকার জীবন যাপন করে। সে কারনে দুজনের মধ্যে মাঝে মাঝে ঝগড়া বিবাদ হতো। আমার বৌ মা রানী খাতুন ৪ বছর বিবাহের মধ্যে ০৩টি সন্তান নষ্ট করেছে। আমার সংসারে সে আমাদের সাথে থাকতে চায় না। ছেলেকে নিয়ে তার পিতার বাড়িতে থাকে। আমি আমার স্ত্রী অতিকষ্টে জীবন যাপন করি। আমার বেয়াই চঞ্চল মোল্যা তার মেয়েকে নিয়ে একাধিকবার আমায় ডেকে আমাকে সহ আমার স্ত্রী সন্তানকে চাপ প্রয়োগ করে টাকা পাওয়ার দাবি করেছে। তার মেয়েকে আমার সংসারে আর দিবে না । এ বিষয়ে ইতনা বিট অফিসার এস আই মিজান সহ মল্লিকপুর বিট অফিসার সৈয়দ আলী এস আই আকিজ সালিশ বৈঠক করেছে। সেখান থেকেও আমার বৌ মাকে তারা বাড়িতে নিয়ে যায়। তখন বৌমা ০৩মাসের অন্তস্বত্বা ছিল। এরপর থেকে তাদের সাথে আমার আর কোন যোগাযোগ নেই। আমি অতি সাধারন একজন মানুষ। আমার স্ত্রী অসুস্থ এবং স্টোক করে শয্যাশায়ী। হঠাৎ করে ১৭ জানুয়ারি গভীর রাতে  লোহাগড়া থানা এস আই অমিত কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আমার বাড়িতে হানা দিয়ে আমি সহ আমার অসুস্থ স্ত্রী বীমা বেগম (৪৫)  ও আমার ছেলে অনিক শেখ কে গ্রেফতার করে। অভিজানের সময় সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার সাথে কোন মহিলা পুলিশ ছিল না।
এ সময় ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলামের সাথে মামলার বিষয় পুলিশ এস আই অমিত কুমার বিশ্বাসের সাথে বাদ-বিতণ্ডা হয়। এরপর ঐ পুলিশ কর্মকর্তা আমাদের কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় আমাদের নিকট এস আই অমিত কুমার বিশ্বাস মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন বাবদ নগদ এক লোক নগদ এক লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এরপর আমি উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে বাঁচার জন্য আমার ছোট শালিকা হাসিনা বেগমের মাধ্যমে ২ হাজার টাকা প্রদান করে। দাবেকৃত টাকা না পেয়ে পুলিশ কর্মকর্তা পুলিশ কর্মকর্তা সময়কে ফোন করে ১৮ জুনিয়ারি দুপুরের পর আমাদের আদালতে পাঠায়। বিজ্ঞ আদালত আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে জামিন মনজুর করেন।  কিন্তু আমার একমাত্র সন্তান অনিকের জামিন না মঞ্জুর হওয়ায় সে বর্তমানে জেলা হাজতে রয়েছে।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করে বলেন, বিবাদী দেওয়া মামলাটি ৪ জানুয়ারি থানায় নথিভুক্ত হয়। আমাদের গ্রেফতার করা হয় ১৭ ই জনুয়ারি। অথচ পুলিশ কর্মকর্তা পি/ও ভিজিট হল ১৮ জানুয়ারি। এটা কিভাবে সম্ভব? শুধু তাই নয়, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অমিত বিশ্বাস ঘটনাস্থলে না গিয়েই ৫ ই জানুযারি তিনি ঘটনা স্থল প্রদর্শন করেছেন মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
তিনি এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধতম কর্মকর্তার সহযোগীতা কামনা করছেন।