পাবিপ্রবির কর্মকর্তাকে স্যার না ডাকায় ছাত্রী হেনস্থার অভিযোগ
- Update Time : ০৯:৪৯:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৪৪৫৩ Time View
কামাল সিদ্দিকী: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) এক মেয়ে শিক্ষার্থীকে স্যার ডাকতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
এর প্রতিবাদে বুধবার দুপুর ১ টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন ভুক্তভুগী শিক্ষার্থীর বিভাগের সকল শিক্ষার্থী।সেই সাথে একটি অভিযোগ পত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার বরাবর জমা দেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানায়। তারা তাদের দাবি উপস্থাপন করেন। দাবির মধ্যে রয়েছে, তিনি কর্মকর্তা হয়ে শিক্ষককে কেন ভাই সম্বোধন করতে বললেন এইটার সুস্পষ্ট ব্যাখা দিতে হবে। তাঁকে ভাই বলে কেন সম্বোধন করা যাবে না এইটার যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে। তিনি ৩০ মিনিট পরে আসবেন এইটার আশ্বাস দিয়ে কেন পরবর্তীতে বিষয়টি সমাধানে আসলেন না। মিথ্যাচারের ব্যাখা দিতে হবে। যেই শিক্ষার্থীর সামনে স্যারকে ভাই সম্বোধন করতে বলছেন, সেই শিক্ষার্থীসহ বিভাগের সকল শিক্ষার্থীদের ও শিক্ষকদের কাছে ওই কর্মকর্তাকে নম্রতার সহিত ভুল স্বীকার করতে হবে।
ভুক্তভুগী সেই ছাত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায়, তার একাডেমিক রেজিষ্ট্রেশন কার্ডের সংশোধন করার জন্য শেখ মাহমুদ কাননের (সেকশন অফিসার গ্রেড -২) অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। শেখ মাহমুদ কাননকে ভাই বলায় ওই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কেউ ভাই বলতে বলেন। ওই শিক্ষার্থী শিক্ষকদেরকে ভাই বলতে নারাজ হলে বাক-বিতর্কের এক পর্যায়ে তাকে স্যার বলতে বাধ্য করেন। এতে ওই শিক্ষার্থী ভীত ও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।
ভুক্তভুগী শিক্ষার্থীর বিভাগের সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পত্র জমা দেয় রেজিষ্টার বরাবর, অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, গত ৪-১২-২০২৩৫ ইং তারিখ আমাদের বিভাগের ৩য় বর্ষের ১ম সেমিষ্টার এর এক মেয়ে শিক্ষার্থী তার রেজিস্ট্রেশন কার্ডের সংশোধন করতে রেজিস্টার অফিসের একাডেমিক শাখায় গেলে সেকশন অফিসার শেখ মাহমুদ কানন উক্ত ছাত্রীকে হেনস্তা করে এবং স্যার বলতে বাধ্য করেন এবং তিনি বলেন তাকে স্যার না বললে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও স্যার বলা যাবেনা। উক্ত ছাত্রী হেনস্তার শিকার হওয়ার কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের প্রধান ড.মোঃ নাজমুল হোসেনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে অভিযোগ পত্র পেয়েছি। মাননীয় উপাচার্য ম্যামের উপস্থিতিতে আগামী শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সুষ্ঠু তদন্ত করে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ধরনের উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সেই কর্মকর্তা বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি বিষয়টা একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। আমার ১২ বছর কর্মজীবনে এমন পরিস্থিতি হয়নি। কারো সাথেই আমি কখনো খারাপ ব্যাবহার করিনি।