বৃষ্টি চক্রবর্তী : ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ কতৃর্ক আয়োজিত চাকুরীতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সকাল ১১.০০ থেকে প্রাথমিক কর্মসূচির মাধ্যমে দুপুর ৩.৩০ মিনিটে থেকে আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

গত ১৭ নভেম্বর ২০২৩ অনুষ্ঠিত কর্মসূচির প্রাক্কালে পিএসসি’ র সাবেক চেয়ারম্যান সাদিক স্যার নিজের ভুল স্বীকার করে ৩৫ টীমকে ফোন কলের মাধ্যমে আশ্বস্ত করেছিলেন যে ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ( রবিবার) ৩৫ টীমের সাথে তিনি আলোচনায় বসবেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় পুরো ১ সপ্তাহ জুড়ে তিনি দেখা করার কথা বলেও আর দেখা করেননি। তিনি ২০১৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ৩৫, ৩৬,৩৭ তম বিসিএস এর ডাটা তুলে ধরেছিলেন। চাকুরীতে বয়সবৃদ্ধি সম্পর্কে ভুল ধারণা দিয়েছিলেন। চাকুরীর বাজার বলতে শুধুমাত্র বিসিএসকে বোঝায় না৷ বর্তমান সময়ে, ননক্যাডার এর সকল নিয়োগ বিসিএস এর আওতাভুক্ত। পরবর্তী সময়ে অন্যান্য অধিদপ্তর গুলো ও পিএসসি’র আওতায় চলে যাবে। তখন চাকুরীতে বাজারে তৈরী হবে চরম বৈষম্য । যার ভুক্তভোগী হবে সাধারণ শিক্ষার্থী। শুধু মাত্র একটি ভুল ব্যাখ্যার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ সময় ধরে এই ছাত্র আন্দোলন চালিয়ে যেতে হচ্ছে। এছাড়াও, ২০১৮ সালে নির্বাচনী ইস্তেহারে বয়সবৃদ্ধির কথা উল্লেখ থাকলেও একমাত্র এই ভুল পরিসংখ্যান এর কারণে তা সম্ভব হয়নি। বয়স সীমা বৃদ্ধির/ বিরোধীতাকারী অর্থাৎ ৩৫ এর রাজাকার হিসেবে কুখ্যাত তেলবাজ মোহাম্মদ সাদিকের ( পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান) কুশপুত্তলিকা দাহ্য করে অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি ও বুদ্ধিজীবী সমাজে বিবেক জাগ্রত করার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার আয়োজন করে ৩৫ প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থী পরিষদ। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিকেল ৫.০০ ঘটিকায় উনার কুশপুত্তলিকা দাহ করে ৩৫ দাবী বাস্তবায়ান না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন।

এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে সন্ধ্যা ৫.১৫ মিনিট এ সাধারণ শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্য থেকে নীলক্ষেতের দিকে পদযাত্রা করলে নিউ মার্কেট প্রশাসন বেড়িকেড দিয়ে নীলক্ষেত মোড়ে তাদরকে আটকিয়ে দেয় এবং লাঠি চার্জ সহ বিভিন্ন হুকমি প্রদান করে ছাত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।
প্রশাসনকে সম্মান দেখিয়ে ছাত্ররা ফিরে এসে রাজু ভাস্কর্যে অবস্হান নিয়েছে। এমতাবস্থায় ৩৫ এর সম্মানিত আহ্বায়ক মোঃ শরিফুল হাসান শুভ ব্যক্তিগত কারনে বিকেল ৪ টা থেকে কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে পারেননি। নিজ কাজ শেষ করে ৫.১৫ মিনিটে কর্মসূচিতে যোগাদান করার সময় নিউ মার্কেট ক্রস করলে নিউ মার্কেট থানার নির্দেশ মোতাবেক সিভিল ড্রেস পরিহিত পুলিশ কনস্টেবল কে ইশা করলে উনাকে ধরে নিয়ে নিউমার্কেট এর ভিতরে নিয়ে নজরদারিতে রাখা হয়। সেই সাথে মোবাইল সিজ করা হয়। একপর্যায়ে কথাকাটাকাটির পর বলেন তারা উপরের আদেশ পেয়ে নজর দারিতে রেখেছিলেন । পরে মোবাইল দিয়ে ৮.২০ মিনিটে উনাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ফিরে এসে বিস্তারিত ঘটনা আন্দোলন রত শিক্ষার্থীদের বলা হয়া এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এর প্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রেস ব্রিফিং দিতে চেয়েছিলো কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেটা আপতত দেওয়া সম্ভব হয়নি। ২৭ অক্টোবর ২০১৩ কর্মসূচির প্রেক্ষিতে ১২ নভেম্বর ২০২৩ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা কবীর বীন আনোয়ার স্যারের সাথে ৪৫ মিনিট ফলপ্রসূ হলেও সেটার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি। তবে, তিনি আশ্বস্ত করেছেন বয়সবৃদ্ধি নিয়ে উপর মহলে আলোচনা হচ্ছে এবার কিছু একটা হলেও হতে পারে। এছাড়াও, আসন্ন নির্বাচনের ইস্তেহার প্রণয়ণ কমিটি পরিচালনার কো – চেয়ারম্যান কাজী জাফর উল্লাহ্ স্যার, ইস্তেহার প্রণয়ন উপ -কমিটির আহ্বায়ক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক এমপি স্যার, ও সদস্য সচিব ড. সেলিম মাহমুদ স্যার এর সাথে দেখা করে ৩৫ টীম তাদের সকলে তথ্য উপাত্ত হস্তান্তর করেছেন। ৩৫ যেহেতু ছাত্র সমাজের দীর্ঘ দিনের দাবী তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যে লাগারতার অবস্থান কর্মসূচিতে বসে পড়েছেন। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত উক্ত কর্মসূচি রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে চলমান থাকবে।