Dhaka ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Breaking News :
Logo ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন: আটক-১ Logo ফরিদপুরে আদম ব্যবসায়ীর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন। Logo খুলনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাদিউজ্জামান হাদির জানাযায় আজিজুল বারী হেলাল। Logo মানিকগঞ্জে চরে বিএনপি’র ঐক্য ও শান্তি সমাবেশ Logo বিষ খাইয়ে প্রতিবন্ধী শিশু সন্তানকে মা-বাবা হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার Logo চল্লিশ বছর পর বাংলাদেশ থেকে নিজ দেশে ফিরলো নিপালী নাগরিক Logo চাঁদপুরের কচুয়ায় আগুনে পুড়ল ২০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান Logo কেরুজ চিনিকলে চাকরি স্থায়ীকরণে অনিয়মের অভিযোগ : কেরুর এমডি’কে লিখিত ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ সদর দপ্তরের: অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা Logo পাবনার ভাঁড়ারার চেয়ারম্যান সুলতান গ্রেফতার Logo চাটমোহরে উদ্যোক্তাদের তৈরিকৃত স্বাস্থ্যসম্মত সরিষার তেল বিক্রয় প্রসারে বাজার সংযোগ সভা

‘মন্দির-শশ্মানের জমি দখল নিয়ে রাজনৈতিক নেতাকে জড়িয়ে সংবাদ সম্মেলন মিথ্যা-ভিত্তিহীন’

ওবায়দুল ইসলাম রবি
  • Update Time : ০৮:৫৭:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪৪৩০ Time View

ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী:: রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কিশমত হোজা কালিমন্দির ও মহাশ্মশানের ২২ বিঘা জমি দখল ও এর সঙ্গে রাজশাহী-০৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী একজন নেতাকে জড়িয়ে একদল ব্যক্তির সংবাদ সম্মেলন মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে) কার্যালয়ে পাল্টা সংবাদ সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং কিশমত হোজা কালিমন্দির ও মহাশ্মশানের দুর্গাপুর উপজেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের দুর্গাপুর উপজেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ এই দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং কিশমত হোজা কালিমন্দির ও মহাশ্মশানের সভাপতি বিনয় সরকার। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘গত বুধবার (৮ নভেম্বর) কিশমত হোজা কালিমন্দির ও মহাশ্মশানের ২২ বিঘা জমি দখলের অভিযোগ তুলে কিশমত হোজা গ্রামেরই একদল লোক রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নে সংবাদ সম্মেলন করে। ওই দিন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকরা সংশ্লিষ্টদের প্রশ্ন করেছিলেন যে, এই মন্দির ও মহাশ্মশানের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সংবাদ সম্মেলনে কেন নেই? তখন তারা বলেছিলো, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অসুস্থ এবং ব্যস্ত। অথচ তারা দুর্গাপুর থেকে রাজশাহী শহরে এসে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে যা আমরা কেউই অবগত ছিলাম না।’

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, “গত বুধবার অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়েছে- ‘মন্দির ও মহাশ্মশানের ২২ বিঘা জমির মূল মালিক ছিলেন সুনীল কুমার, সুশীল কুমার, পরেশ কুমার ও শিতিশ চন্দ্র সিদ্ধার্থ।’ আসলে মন্দির ও মহাশ্মশানের নামে ২২ বিঘা জমি ও জমি সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে আমরা অবগত নই। তবে মন্দির ও মহাশ্মশানের নামে মাত্র ১৪ শতাংশ জমি সরকার বাহাদুর প্রদান করেছিলেন। সেখানেই আমরা দীর্ঘদিন থেকে অদ্যাবধি পুজা ও দাহকার্য বিনাবাধায় সম্পাদন করে আসছি।”

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, ‘গত বুধবার কিশমত হোজা কালিমন্দির ও মহাশ্মশান কমিটির সদস্যবৃন্দের ব্যানারে অয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনের মিথ্যাভরা লিখিত বক্তব্যটি আব্দুল লতিফ নামে যিনি পাঠ করেছেন ওই ব্যক্তিটি আসলে কে? সে আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের কেউ না। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ওই দিন ওই ব্যক্তি মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদেরও ধোকা দিয়েছিল।’

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, “গত বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে বলা হয়েছে ‘রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক একজন সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান এক প্রভাবশালী নেতার সহযোগিতায় জামায়াত নেতা সোহরাব জমিগুলোর দলিল করে নিয়েছেন।’ সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা বলতে আবদুল ওয়াদুদ দারকেই তারা বুঝিয়েছেন। অথচ দারা সাহেব আমাদের সবার প্রাণপ্রিয় নেতা। তিনি ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদে বিশ্বাসী এবং আমাদের স্বনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবসময় আগলে রেখেছেন। কেননা, রাজশাহীর পুঠিয়া-দুর্গাপুরে যত মন্দির, শ্মশান রয়েছে সবগুলোই আবদুল ওয়াদুদ দারা তার নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় সংস্কার ও আধুনিকায়ন করেছেন। তিনি সংসদ সদস্য থাকাকালীন আমাদের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য যা করেছেন অন্য কোনো সংসদ সদস্য তার ধারেকাছেও যেতে পারেনি। তিনি বর্তমানে সংসদ সদস্য নন; তারপরও আমাদের স্বনাতন ধর্মাবলম্বীদের যেভাবে সহযোগিতা করে আসছেন তা কল্পনাতীত। অথচ এমন একজন মানুষকে ধর্মীয় বিষয়ের সঙ্গে যখন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়ানো হয় তখন বোঝার বাকি থাকে না যে, কেন তার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যাচার করা হচ্ছে। এর পিছনে বড় ধরনের অপশক্তি কাজ করছে বলে আমাদের কাছে স্পষ্ট প্রতীয়মান।”

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ দুর্গাপুর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আনন্দ সরকার, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ দুর্গাপুরের সভাপতি তারকনাথ মজুমদার,সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার শাহা প্রমুখ।

Tag :

অগ্রযাত্রা স্যাটেলাইট টেলিভিশন (এটিভি বাংলা) লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ২ নং শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ স্বরণী, রমনা, ঢাকা-১২১৭।
মোবাইল: ০১৬৪৬৪৪৪৫৩০

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

‘মন্দির-শশ্মানের জমি দখল নিয়ে রাজনৈতিক নেতাকে জড়িয়ে সংবাদ সম্মেলন মিথ্যা-ভিত্তিহীন’

Update Time : ০৮:৫৭:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩

ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী:: রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কিশমত হোজা কালিমন্দির ও মহাশ্মশানের ২২ বিঘা জমি দখল ও এর সঙ্গে রাজশাহী-০৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী একজন নেতাকে জড়িয়ে একদল ব্যক্তির সংবাদ সম্মেলন মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে) কার্যালয়ে পাল্টা সংবাদ সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং কিশমত হোজা কালিমন্দির ও মহাশ্মশানের দুর্গাপুর উপজেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের দুর্গাপুর উপজেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ এই দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং কিশমত হোজা কালিমন্দির ও মহাশ্মশানের সভাপতি বিনয় সরকার। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘গত বুধবার (৮ নভেম্বর) কিশমত হোজা কালিমন্দির ও মহাশ্মশানের ২২ বিঘা জমি দখলের অভিযোগ তুলে কিশমত হোজা গ্রামেরই একদল লোক রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নে সংবাদ সম্মেলন করে। ওই দিন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকরা সংশ্লিষ্টদের প্রশ্ন করেছিলেন যে, এই মন্দির ও মহাশ্মশানের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সংবাদ সম্মেলনে কেন নেই? তখন তারা বলেছিলো, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অসুস্থ এবং ব্যস্ত। অথচ তারা দুর্গাপুর থেকে রাজশাহী শহরে এসে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে যা আমরা কেউই অবগত ছিলাম না।’

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, “গত বুধবার অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়েছে- ‘মন্দির ও মহাশ্মশানের ২২ বিঘা জমির মূল মালিক ছিলেন সুনীল কুমার, সুশীল কুমার, পরেশ কুমার ও শিতিশ চন্দ্র সিদ্ধার্থ।’ আসলে মন্দির ও মহাশ্মশানের নামে ২২ বিঘা জমি ও জমি সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে আমরা অবগত নই। তবে মন্দির ও মহাশ্মশানের নামে মাত্র ১৪ শতাংশ জমি সরকার বাহাদুর প্রদান করেছিলেন। সেখানেই আমরা দীর্ঘদিন থেকে অদ্যাবধি পুজা ও দাহকার্য বিনাবাধায় সম্পাদন করে আসছি।”

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, ‘গত বুধবার কিশমত হোজা কালিমন্দির ও মহাশ্মশান কমিটির সদস্যবৃন্দের ব্যানারে অয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনের মিথ্যাভরা লিখিত বক্তব্যটি আব্দুল লতিফ নামে যিনি পাঠ করেছেন ওই ব্যক্তিটি আসলে কে? সে আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের কেউ না। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ওই দিন ওই ব্যক্তি মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদেরও ধোকা দিয়েছিল।’

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, “গত বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে বলা হয়েছে ‘রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক একজন সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান এক প্রভাবশালী নেতার সহযোগিতায় জামায়াত নেতা সোহরাব জমিগুলোর দলিল করে নিয়েছেন।’ সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা বলতে আবদুল ওয়াদুদ দারকেই তারা বুঝিয়েছেন। অথচ দারা সাহেব আমাদের সবার প্রাণপ্রিয় নেতা। তিনি ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদে বিশ্বাসী এবং আমাদের স্বনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবসময় আগলে রেখেছেন। কেননা, রাজশাহীর পুঠিয়া-দুর্গাপুরে যত মন্দির, শ্মশান রয়েছে সবগুলোই আবদুল ওয়াদুদ দারা তার নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় সংস্কার ও আধুনিকায়ন করেছেন। তিনি সংসদ সদস্য থাকাকালীন আমাদের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য যা করেছেন অন্য কোনো সংসদ সদস্য তার ধারেকাছেও যেতে পারেনি। তিনি বর্তমানে সংসদ সদস্য নন; তারপরও আমাদের স্বনাতন ধর্মাবলম্বীদের যেভাবে সহযোগিতা করে আসছেন তা কল্পনাতীত। অথচ এমন একজন মানুষকে ধর্মীয় বিষয়ের সঙ্গে যখন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়ানো হয় তখন বোঝার বাকি থাকে না যে, কেন তার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যাচার করা হচ্ছে। এর পিছনে বড় ধরনের অপশক্তি কাজ করছে বলে আমাদের কাছে স্পষ্ট প্রতীয়মান।”

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ দুর্গাপুর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আনন্দ সরকার, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ দুর্গাপুরের সভাপতি তারকনাথ মজুমদার,সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার শাহা প্রমুখ।