Dhaka ০৪:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Breaking News :
Logo ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন: আটক-১ Logo ফরিদপুরে আদম ব্যবসায়ীর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন। Logo খুলনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাদিউজ্জামান হাদির জানাযায় আজিজুল বারী হেলাল। Logo মানিকগঞ্জে চরে বিএনপি’র ঐক্য ও শান্তি সমাবেশ Logo বিষ খাইয়ে প্রতিবন্ধী শিশু সন্তানকে মা-বাবা হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার Logo চল্লিশ বছর পর বাংলাদেশ থেকে নিজ দেশে ফিরলো নিপালী নাগরিক Logo চাঁদপুরের কচুয়ায় আগুনে পুড়ল ২০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান Logo কেরুজ চিনিকলে চাকরি স্থায়ীকরণে অনিয়মের অভিযোগ : কেরুর এমডি’কে লিখিত ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ সদর দপ্তরের: অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা Logo পাবনার ভাঁড়ারার চেয়ারম্যান সুলতান গ্রেফতার Logo চাটমোহরে উদ্যোক্তাদের তৈরিকৃত স্বাস্থ্যসম্মত সরিষার তেল বিক্রয় প্রসারে বাজার সংযোগ সভা

পীরগাছায় লিপি হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ

ডেস্ক এডিটর
  • Update Time : ০৪:১৫:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ অগাস্ট ২০২২
  • / ৪৪৪৪ Time View

মো. একরামুল ইসলাম, পীরগাছা, রংপুর::
রংপুরের পীরগাছায় লিপি আক্তার হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মাদকের কারবার ও অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ার কারণে লোকলজ্জার ভয়ে নিজের মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাবা রফিকুল ইসলাম। ঘটনাটি উপজেলার সদর ইউনিয়নের তালুক ইসাদ (নয়াটারী) গ্রামের। মঙ্গলবার পীরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুমুর রহমান রফিকুল ইসলামের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, পুলিশের চাকরি করেন এমন ছেলের সাথে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন বাবা রফিকুল ইসলাম। কিন্তু নিজের মেয়ের কারণেই সেই বিয়ে টেকেনি, এমনটাই দাবি করেন তিনি। এরপর বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েন লিপি আক্তার। পরে তাকে তার পরিবার জোরপ‚র্বক ঢাকায় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজে পাঠান। সর্বশেষ গত কোরবানির ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এলে মেয়ে অন্তঃসত্ত¡া বলে জানতে পারেন বাবা রফিকুল ইসলাম। এতে তিনি লোকলজ্জার ভয়ে মেয়ের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
একপর্যায়ে গত ২২ জুলাই রাত ১টার দিকে মেয়েকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলায় পা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বাবা রফিকুল ইসলাম। পরে বাড়ির পাশের জমিতে পুঁতে রাখেন লাশ। কিন্তু লোকের ভয়ে দুইদিন পর লাশ তুলে দ‚রে নিয়ে গিয়ে একটি আবাদি জমিতে বৈদ্যুতিক খুঁটির নিচে পুঁতে রাখে। এমনি এক লোমহর্ষক ঘটনার সাত দিনের মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুলাই সকালে ওই এলাকার একটি জমি থেকে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেদিনই লাশটি নিজের বোন লিপির বলে দাবি করেন ওই এলাকার শামীম মিয়া। পুলিশ এ ঘটনায় মামলা দায়েরের জন্য তার বাবা রফিকুল ইসলামকে থানায় ডাকে। কিন্তু তিনি মামলা দায়ের গড়িমসি শুরু করেন। তবে একপর্যায়ে তিনি বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করলেও সন্দেহ বেড়ে যায় পুলিশের। আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে লিপির অবস্থান বাড়িতেই ছিল বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম ও ভাই শামীমসহ পরিবারের চার সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। একপর্যায়ে মেয়েকে ‘অসামাজিক কার্যকলাপ’ থেকে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়ে নিজেই হত্যা করেন বলে স্বীকার করেন রফিকুল ইসলাম।
রংপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) আশরাফুল আলম পলাশ বলেন, রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হলে তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিম‚লক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত রফিকুলকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।

Tag :

অগ্রযাত্রা স্যাটেলাইট টেলিভিশন (এটিভি বাংলা) লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ২ নং শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ স্বরণী, রমনা, ঢাকা-১২১৭।
মোবাইল: ০১৬৪৬৪৪৪৫৩০

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

পীরগাছায় লিপি হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ

Update Time : ০৪:১৫:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ অগাস্ট ২০২২

মো. একরামুল ইসলাম, পীরগাছা, রংপুর::
রংপুরের পীরগাছায় লিপি আক্তার হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মাদকের কারবার ও অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ার কারণে লোকলজ্জার ভয়ে নিজের মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাবা রফিকুল ইসলাম। ঘটনাটি উপজেলার সদর ইউনিয়নের তালুক ইসাদ (নয়াটারী) গ্রামের। মঙ্গলবার পীরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুমুর রহমান রফিকুল ইসলামের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, পুলিশের চাকরি করেন এমন ছেলের সাথে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন বাবা রফিকুল ইসলাম। কিন্তু নিজের মেয়ের কারণেই সেই বিয়ে টেকেনি, এমনটাই দাবি করেন তিনি। এরপর বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েন লিপি আক্তার। পরে তাকে তার পরিবার জোরপ‚র্বক ঢাকায় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজে পাঠান। সর্বশেষ গত কোরবানির ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এলে মেয়ে অন্তঃসত্ত¡া বলে জানতে পারেন বাবা রফিকুল ইসলাম। এতে তিনি লোকলজ্জার ভয়ে মেয়ের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
একপর্যায়ে গত ২২ জুলাই রাত ১টার দিকে মেয়েকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলায় পা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বাবা রফিকুল ইসলাম। পরে বাড়ির পাশের জমিতে পুঁতে রাখেন লাশ। কিন্তু লোকের ভয়ে দুইদিন পর লাশ তুলে দ‚রে নিয়ে গিয়ে একটি আবাদি জমিতে বৈদ্যুতিক খুঁটির নিচে পুঁতে রাখে। এমনি এক লোমহর্ষক ঘটনার সাত দিনের মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুলাই সকালে ওই এলাকার একটি জমি থেকে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেদিনই লাশটি নিজের বোন লিপির বলে দাবি করেন ওই এলাকার শামীম মিয়া। পুলিশ এ ঘটনায় মামলা দায়েরের জন্য তার বাবা রফিকুল ইসলামকে থানায় ডাকে। কিন্তু তিনি মামলা দায়ের গড়িমসি শুরু করেন। তবে একপর্যায়ে তিনি বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করলেও সন্দেহ বেড়ে যায় পুলিশের। আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে লিপির অবস্থান বাড়িতেই ছিল বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম ও ভাই শামীমসহ পরিবারের চার সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। একপর্যায়ে মেয়েকে ‘অসামাজিক কার্যকলাপ’ থেকে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়ে নিজেই হত্যা করেন বলে স্বীকার করেন রফিকুল ইসলাম।
রংপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) আশরাফুল আলম পলাশ বলেন, রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হলে তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিম‚লক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত রফিকুলকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।