Dhaka ০৭:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Breaking News :
Logo ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন: আটক-১ Logo ফরিদপুরে আদম ব্যবসায়ীর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন। Logo খুলনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাদিউজ্জামান হাদির জানাযায় আজিজুল বারী হেলাল। Logo মানিকগঞ্জে চরে বিএনপি’র ঐক্য ও শান্তি সমাবেশ Logo বিষ খাইয়ে প্রতিবন্ধী শিশু সন্তানকে মা-বাবা হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার Logo চল্লিশ বছর পর বাংলাদেশ থেকে নিজ দেশে ফিরলো নিপালী নাগরিক Logo চাঁদপুরের কচুয়ায় আগুনে পুড়ল ২০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান Logo কেরুজ চিনিকলে চাকরি স্থায়ীকরণে অনিয়মের অভিযোগ : কেরুর এমডি’কে লিখিত ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ সদর দপ্তরের: অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা Logo পাবনার ভাঁড়ারার চেয়ারম্যান সুলতান গ্রেফতার Logo চাটমোহরে উদ্যোক্তাদের তৈরিকৃত স্বাস্থ্যসম্মত সরিষার তেল বিক্রয় প্রসারে বাজার সংযোগ সভা

সরিষাবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

ডেস্ক এডিটর
  • Update Time : ০৭:১৫:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪৪২৩ Time View
জামালপুর থেকে মতিউর রহমান : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ১২ ডিসেম্বর সরিষাবাড়ীবাসীর কাছে অত্যস্ত গৌরবোজ্জ্বল ও স্মরণীয় দিন। এই দিনে মিত্রবাহিনীর সহায়তায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে তৎকালীন জামালপুর মহকুমার সরিষাবাড়ী থানা শত্রু মুক্ত করতে সক্ষম হন।
১৯৭১ সলের ৬ ডিসেম্বর ১১নং সেক্টরের মহেন্দ্রগঞ্জ সাব সেক্টর এবং সেক্টর হেড কোয়াটার ক্লোজ করার পর সেকেন্ড সেক্টর কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার এম. হামিদুল্লাহ খান যুদ্ধকালীন কমান্ডার সুবেদার নূরুল ইসলামকে সরিষাবাড়ী দখলের নির্দেশ দেন। নূরুল কোম্পানী ও নাজিম কোম্পানীর মুক্তিযোদ্ধারা সেদিন সন্ধ্যায় চর জামিরা পৌছান। পরদিন পূর্ব থেকে অবস্থানরত রশিদ কোম্পানী, লুৎফর রহমান লোদা কোম্পানী, ফজলুর রহমান কোম্পানী মিলে এলাকার রাজাকার ও আলবদরদের অস্রসহ আটক করে থানায় নিয়ে যান। ৮ ডিসেম্বর যুদ্ধকালীন কমান্ডার নূরুল ইসলাম, তৎকালীন এমপি আঃ মালেক, ইউপি চেয়ারম্যান আঃ মজিদ এর নেতৃত্বে সরিষাবাড়ী থানায় স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হয়। পুরো সরিষাবাড়ী রাজাকার মুক্ত করার মধ্যেই ৪ নং আওনা ইউনিয়নের জগন্নাথগঞ্জ ঘাট এলাকায় মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে পড়েন। এক পর্যায়ে মুক্তিবাহিনীর হামলা আর প্রবল প্রতিরোধের মুখে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পিছু হটে ১৪৬ জন পাক সেনা জগন্নাথগঞ্জ ঘাট এলাকায় অবস্থান নেয়। ১১ ডিসেম্বর রাতেই নাজিম কোম্পানী, আনিস কোম্পানী, রশিদ কোম্পানী, নূরুল কোম্পানী, লুৎফর কোম্পানী ও ফজলু কোম্পানীর মুক্তিযোদ্ধারা মিত্রবাহিনীর সহায়তায় জগন্নাথগঞ্জ ঘাটে যৌথ অভিযান চালান। সারারাতের অভিযান ও সম্মুখ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা সকল পাক সেনাদের পাকড়াও করতে সক্ষম হন। পরদিন ১২ ডিসেম্বর ভোরে মিত্রবাহিনীর হাতে তাদের হস্তান্তর করা হয়। অস্ত্র ও গোলাবারুদ থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত এডমিন ইনচার্জ সুবেদার নূরুল ইসলামএর নিকট জমা দেন। একইদিন এলাকার রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গদের সহায়তায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা ঐতিহাসিক গণময়দানে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে সরিষাবাড়ী থানা শত্রু মুক্ত ঘোষনা করেন। সরিষাবাড়ীর আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হতে থাকে বিজয়ের গান। উল্লাসে মেতে ওঠে মুক্তিকামী হাজারো মানুষ।
Tag :

অগ্রযাত্রা স্যাটেলাইট টেলিভিশন (এটিভি বাংলা) লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ২ নং শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ স্বরণী, রমনা, ঢাকা-১২১৭।
মোবাইল: ০১৬৪৬৪৪৪৫৩০

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সরিষাবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

Update Time : ০৭:১৫:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
জামালপুর থেকে মতিউর রহমান : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ১২ ডিসেম্বর সরিষাবাড়ীবাসীর কাছে অত্যস্ত গৌরবোজ্জ্বল ও স্মরণীয় দিন। এই দিনে মিত্রবাহিনীর সহায়তায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে তৎকালীন জামালপুর মহকুমার সরিষাবাড়ী থানা শত্রু মুক্ত করতে সক্ষম হন।
১৯৭১ সলের ৬ ডিসেম্বর ১১নং সেক্টরের মহেন্দ্রগঞ্জ সাব সেক্টর এবং সেক্টর হেড কোয়াটার ক্লোজ করার পর সেকেন্ড সেক্টর কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার এম. হামিদুল্লাহ খান যুদ্ধকালীন কমান্ডার সুবেদার নূরুল ইসলামকে সরিষাবাড়ী দখলের নির্দেশ দেন। নূরুল কোম্পানী ও নাজিম কোম্পানীর মুক্তিযোদ্ধারা সেদিন সন্ধ্যায় চর জামিরা পৌছান। পরদিন পূর্ব থেকে অবস্থানরত রশিদ কোম্পানী, লুৎফর রহমান লোদা কোম্পানী, ফজলুর রহমান কোম্পানী মিলে এলাকার রাজাকার ও আলবদরদের অস্রসহ আটক করে থানায় নিয়ে যান। ৮ ডিসেম্বর যুদ্ধকালীন কমান্ডার নূরুল ইসলাম, তৎকালীন এমপি আঃ মালেক, ইউপি চেয়ারম্যান আঃ মজিদ এর নেতৃত্বে সরিষাবাড়ী থানায় স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হয়। পুরো সরিষাবাড়ী রাজাকার মুক্ত করার মধ্যেই ৪ নং আওনা ইউনিয়নের জগন্নাথগঞ্জ ঘাট এলাকায় মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে পড়েন। এক পর্যায়ে মুক্তিবাহিনীর হামলা আর প্রবল প্রতিরোধের মুখে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পিছু হটে ১৪৬ জন পাক সেনা জগন্নাথগঞ্জ ঘাট এলাকায় অবস্থান নেয়। ১১ ডিসেম্বর রাতেই নাজিম কোম্পানী, আনিস কোম্পানী, রশিদ কোম্পানী, নূরুল কোম্পানী, লুৎফর কোম্পানী ও ফজলু কোম্পানীর মুক্তিযোদ্ধারা মিত্রবাহিনীর সহায়তায় জগন্নাথগঞ্জ ঘাটে যৌথ অভিযান চালান। সারারাতের অভিযান ও সম্মুখ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা সকল পাক সেনাদের পাকড়াও করতে সক্ষম হন। পরদিন ১২ ডিসেম্বর ভোরে মিত্রবাহিনীর হাতে তাদের হস্তান্তর করা হয়। অস্ত্র ও গোলাবারুদ থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত এডমিন ইনচার্জ সুবেদার নূরুল ইসলামএর নিকট জমা দেন। একইদিন এলাকার রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গদের সহায়তায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা ঐতিহাসিক গণময়দানে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে সরিষাবাড়ী থানা শত্রু মুক্ত ঘোষনা করেন। সরিষাবাড়ীর আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হতে থাকে বিজয়ের গান। উল্লাসে মেতে ওঠে মুক্তিকামী হাজারো মানুষ।