রাজশাহীতে দুই চিকিৎসককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা
- Update Time : ০৬:১৮:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩
- / ৪৪৩৪ Time View
ওবায়দুল ইসলাম রবি,রাজশাহী থেকে :
রাজশাহীতে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুই চিকিৎসককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতদের একজন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের (বিসিএস) চিকিৎসক গোলাম কাজেম আলী (৪২)। অন্যজন গ্রাম্য চিকিৎসক এরশাদ আলী দুলাল (৪৫)। রোববার দিবাগত রাতে এ দুটি খুনের ঘটনা ঘটে। এই হত্যার প্রতিবাদে সোমবার সকালে জেলার জিরো পয়েন্টে একটি মানববন্ধনের অনুষ্ঠিত হয়। জেলার দেবিনগর স্টুন্টেস কমিউনিটির আয়োজনে উপস্থিত সকলে চিকিৎসক হত্যাকারিদের দ্রুত আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে।
রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল হক জানান, তিনজন মাইক্রোবাস থেকে নেমে প্রথমে পেছন থেকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে চিকিৎসক কাজেম আলীকে। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার সঙ্গে একজন মোটরসাইকেল চালক ছিলেন। তার নাম শাহীন। তিনি গ্লোব ফার্মাসিউটেক্যালের মেডিকেল রিপ্রেজেনটিভ। তার সঙ্গে প্রায় যাওয়া আসা করতেন গোলাম কাজেম আলী আহমেদ।
ওসি বলেন, রবিবার দিবাগত রাতে একটি সিলভার রঙ্গের মাইক্রোবাস প্রথমে চিকিৎস কাজেমকে বহনকারী মোটরসাইকেলটিকে থামাতে পরিবেশ তৈরী করে। যার কারনে চালক বাধ্য হয়ে রাস্তার বাম পাশে মোটরসাইকেল দাঁড় করান। পরে তারা লাঠি দিয়ে আঘাত করে চিকিৎসককে। ওই সময় চালক শাহীনকে চলে যেতে বলে। শাহীন মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যেতে গিয়ে দেখেন পেছনে চিকিৎসক পড়ে আছেন। তার শরীর দিয়ে রক্তপাত হচ্ছে। দুর্বৃত্তরা আঘাত করে মাইক্রোবাসে করে পালিয়ে যায়। পথচারীরা চিকিৎসক কাজেম আলীকে ধরাধরি করে রক্তাক্ত অবস্থায় রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্ত তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহরাওয়ার্দী জানান, নিহত চিকিৎসকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রামেকের মর্গে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। কেন, কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তার তদন্ত চলছে। হত্যাকারীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অপরদিকে নিহত গ্রাম্য চিকিৎসক এরশাদ আলী দুলাল হোমিও চিকিৎসা দিতেন। রোববার বিকালে তাকে নিজ এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়। রাত ৯টার দিকে নগরীর শাহমখদুম থানার সিটিহাট এলাকা থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তাকেও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শাহমখদুম থানার ওসি ইসমাইল হোসেন। তিনি জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে স্বজনেরাই দুলালকে অপহরণ করে বলে পরিবার অভিযোগ করে। অপহরণের পর চন্দ্রিমা থানায় একটি অভিযোগও করা হয়। এর ছয় ঘণ্টার মধ্যে শাহমখদুম থানা এলাকায় তার লাশ পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি উদ্ধার করে রাতেই রামেকের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওসি বলেন, ‘আমাদের থানা এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার হলেও এখানে মামলা হয়নি। চন্দ্রিমা থানার অপহরণ মামলাটিই এখন হত্যা মামলায় রূপ নেবে। হত্যাকারীদের ধরতে চন্দ্রিমা থানা পুলিশ কাজ করছে।