বড়পুকুরিয়া খনিতে আংশিক উৎপাদন শুরু
- Update Time : ০৫:৪৪:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ অগাস্ট ২০২২
- / ৪৪৫৯ Time View
আবারও শুরু হয়েছে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন। এবারে পরীক্ষামূলকভাবে নয় বরং আংশিক উৎপাদনে গেছে খনিটি। আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই পুরোদমে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
পুনরায় কয়লা উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। প্রথম দিনের ২৪ ঘণ্টায় ৭৫০ মেট্রিক টন এবং পরের দিন ৯৫০ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা গেছে। আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই পুরোপুরি উত্তোলনে যাবে খনিটি। তখন প্রতিদিন দুই হাজার থেকে দুই হাজার ২০০ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
যদিও এখানে তিনটি শিফটে কয়লা উত্তোলন হয়, তবে বর্তমানে মাত্র একটি শিফটে শ্রমিকরা কয়লা উত্তোলন করছেন। যাদের মধ্যে কোনো করোনা উপসর্গ নেই এবং যারা করোনার নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম করেছেন, তাদের দিয়ে কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে শ্রমিকদের খনি অভ্যন্তরে প্রবেশ করানোর পর শিফট বাড়ানো হবে।
খনি সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উত্তোলন করা ১৩১০নং ফেইজ থেকে মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় গত ৩০ এপ্রিল থেকে এই খনিতে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। পরে ফেইজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর পরিত্যক্ত ফেইজের ব্যবহারযোগ্য যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও নতুন প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বসিয়ে ১৩০৬নং ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন করার প্রক্রিয়া শুরু করে কর্তৃপক্ষ। ওই সময়ে বলা হয়েছিল নতুন ফেইজ রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন করে কয়লা উত্তোলনে সময় লাগবে প্রায় আড়াই মাস। পরে আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে কয়লা উত্তোলনের সময়ও নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ।
তবে জাতীয় সংকট মোকাবিলা করার জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ও পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় দ্রুত নতুন ফেইজের উন্নয়ন কাজ শেষ করা হয়। ভূগর্ভের ভেতরে যন্ত্রপাতি বসিয়ে ২৭ জুলাই সকাল থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু করে কর্তৃপক্ষ। চার থেকে পাঁচদিনের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ উৎপাদনে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। এরই মধ্যে খনিতে কর্মরতদের করোনা উপসর্গ দেখা দিলে পরীক্ষা করা হয় এবং ৫২ জন চীনা ও বাংলাদেশি শ্রমিকের মধ্যে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। পরে ৩০ জুলাই সকাল থেকে আবারও কয়লা উত্তোলন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।