বিয়ে বাড়িতে কাজীর সহকারীকে চর থাপ্পড় মারার ভিডিও ভাইরাল
- Update Time : ০১:৩২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪
- / ৪৪০৭ Time View
মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি :: মাদারীপুরের শিবচরে এক বিয়ে বাড়িতে নিকাহ রেজিস্ট্রারে সহকারীকে চর থাপ্পড় মারার ঘটনার ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এক ভিডিওতে দেখা যায় নিকাহ রেজিস্ট্রারের কনের স্বাক্ষর নেয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিএনপি নেতা সাবেক পৌর কাউন্সিলর শাহাদাত হোসেন খান রেজিস্ট্রারে সহকারী মো. ইসলাম শরীফকে কয়েকটি থাপ্পড় মারেন। এ ব্যাপারে শিবচর থানায় অভিযোগ করেন লাঞ্ছিত ওই কাজীর অফিস সহকারী। তবে সাবেক পৌর কাউন্সিলর এ ঘটনার জন্য কাজীর অফিস সহকারীর র্দুব্যবহার করাকে দায়ী করেছেন।
থানায় লিখিত অভিযোগের সূত্রে ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিবচর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের শিবরায়ের কান্দি গ্রামের আব্দুস সালাম খানের ছেলে পারভেজ খানের সাথে একই পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের এক মেয়ের সাথে বিবাহের দিন ছিল বুধবার (১ এপ্রিল)। এদিন অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বিকেলে নিকাহ রেজিষ্টারের কাজ শুরু করেন কাজীর অফিস সহকারী মো: ইসলাম শরীফ। এসময় কাজীর অফিস সহকারী মো: ইসলাম শরীফ কনের
স্বাক্ষর আনার কথা বললে ওই বিএনপি নেতা সাবেক পৌর কাউন্সিলর শাহাদাত হোসেন খান কনের স্বাক্ষর তার বাবা দিলেই হবে বলে জানিয়ে দেন। কিন্তু সহকারী রেজিস্ট্রার কনের স্বাক্ষর ছাড়া নিকাহ রেজিস্ট্রার সম্পন্ন হবে না এ কথা জানালে বিএনপি নেতা সাবেক পৌর কাউন্সিলর উত্তেজিত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটির সময় সাবেক পৌর কাউন্সিলর কাজীর সহকারীকে চর থাপ্পড় মারলে এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় কাজীর সহকারী বাদী হয়ে সেই রাতেই বিএনপি নেতা সাবেক পৌর কাউন্সিলরকে আসামি করে শিবচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। মো: ইসলাম শরীফ বলেন, শাহাদাত কমিশনার কনের পরবর্তীতে তার বাবাকে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে কাবিন করাতে চায়। আমি না করলে সে আমাকে চর থাপ্পড় মারে। সাবেক পৌর কাউন্সিলর শাহাদাত হোসেন খান বলেন, আমি ওনাকে বলি তুমি সবার স্বাক্ষর নিয়ে কাজটা এগিয়ে রাখো। ও কনের স্বাক্ষর নিজে নিতে চায়। এটা আমাদের ধর্মীয়ভাবে জায়েজ না। আর ব্যবহারও খুব খারাপ
করেছে। তাই ভুল বোঝাবুঝি হয়। পরে সমাধানও হয়। শিবচর থানার ওসি সুব্রত গোলদার বলেন, বিষয়টা আমরা তদন্ত করছি। দোষীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।