বগুড়ার নন্দীগ্রামে ধান কাটা মাড়াই শুরু, কৃষকের মুখে সোনালি হাসি
- Update Time : ০৬:৩২:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩
- / ৪৫০৫ Time View
অগ্রহায়ণ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে রোপা আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বগুড়র নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন মাঠে আগাম জাতের রোপা আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। অবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন পাচ্ছেন কৃষকরা। আর বাজারে ভালো দাম থাকায় লাভের আশা করছে তারা। বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে নন্দীগ্রামের বিভিন্ন মাঠে ধান কাটতে দেখা গেছে কৃষদের।
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এবার এই উপজেলায় ১৯ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও তার চেয়ে বেশি ধান চাষ করেছেন কৃষকরা। এর মধ্যে আগাম জাতের বিনা-৭, ব্রি ধান-১৭,-ব্রি ধান-৭৫, ব্রি ধান-৮৭, ব্রি-৯০ ও স্থানীয় জাত মিনিকেট ধান চাষ হয়েছে ৫হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে। সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে রোপা আমন ধান কাটা শুরু হয়। কিন্তু আশ্বিন ও কার্তিক এ দুই মাস কৃষকরা বিশেষ করে প্রান্তিক কৃষকরা অভাব-অনটনের মধ্যদিয়ে দিন কাটায়। আর অভাব দূর করার জন্য আগাম জাতের ধান আবাদের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা। বর্তমানে এ জাতের ব্রি ধান-৮৭, বিনা-৭, ব্রি ধান-১৭, ব্রি-৯০ ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, সবুজ আমনখেতের মাঝে মাঝে উঁকি দিচ্ছে আগাম জাতের সোনালি ধান। পৌর এলাকার বিভিন্ন মাঠে আগাম জাতের এসব ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। কয়েক বছর ধরে ব্রি ধান-৮৭, বিনা-৭, ব্রি-৯০ জাতের আগাম ধান চাষ করছেন ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের জয়নাল আবেদীন।
তিনি জানান, প্রচলিত ধানের চেয়ে এক থেকে দেড় মাস আগে এ ধান কাটা যায় বিঘা প্রতি ১৭-১৮ মন করে ধান পাওয়া যায়, বাজার মূল্যে ভালো থাকাই এই আগাম জাতের ধান বিক্রয় করে অনেকটাই লাভবান হওয়া যাবে। আশ্বিন-কার্তিক মাসের অভাবের সময় এ ধান পাওয়া যায় বলে এলাকার মানুষ আগাম জাতের এ ধান চাষ করে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজিউল হক জানান, উপজেলায় আগাম জাতের ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। কারণ এ জাতের ধান কাটার পর খুব সহজেই রবিশস্য চাষাবাদ করতে পারেন তারা। এবার উপজেলায় ১৯ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম জাতের ধান চাষ হয়েছে ৫ হাজার ৮০০হেক্টর জমিতে। এখন ধানের বাজার মূল্যে ভালো থাকায় আগাম জাতের ধান বিক্রয় করে অনেকটাই লাভবান হতে পারবে এই উপজেলার কৃষকরা।