২০৪১ সালে যারা নেতৃত্ব দিবে সেই ছাত্রছাত্রীরা আমার সামনেই বসে আছে। এজন্যই ছাত্রলীগকে নেতৃত্বের জন্য তৈরি হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান এমপি। রবিবার (২৯ মে) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দেশরত্ন শেখ হাসিনার ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এসময় মন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যতদিন থাকবেন ততদিন দেশ এগিয়ে যাবে। ২০৪১ সালে দেশ উন্নত দেশের কাতারে চলে যাবে। তখন যারা নেতৃত্ব দিবে তারা আমার সম্মুখে বসে আছে আর এজন্যই তরুণ প্রজন্মেকে নেতৃত্বের জন্য তৈরি হতে হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী যেদিন এদেশে ফিরে এলেন সেদিন ঝড় বৃষ্টিতে আকাশ ছিলো প্রকম্পিত। যেন তাঁকে দেখার জন্যই আকাশ কেঁদেছিলো। সেদিন সাধারণ জনগণ বলে উঠেছে, ‘শেখের বেটি এসেছেন, আমাদের আর ভয় নাই। আমরা এবার এগিয়ে যাবো।’ মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা কোনো পেশিশক্তির উপর নির্ভর করি না, আমরা জনগণের উপর নির্ভর করি। আর এই জনগণই আমাদের পরবর্তী নির্বাচনে বিজয়ী করবে।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে কাজী মো. নাজিবুল্লাহ হিরু বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী যখন এইদেশে পদার্পণ করেন তখন বাংলাদেশের অবস্থা ছিলো করুণ। সেই অবস্থা থেকে দেশকে উত্তোলন করে তিনি শুধু বাংলাদেশের নেত্রী নন, তিনি এখন বিশ্ব নেত্রী। বর্তমানে আবারও দেশকে পিছিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ২০১৪ সালে শিক্ষাঙ্গনগুলো কলুষিত হয়েছিলো সেশনজটে, এখন আবারও শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে ১৪ সালের রূপ দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের সঞ্চালনায় এ আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমেদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাবু (এমপি), সাবেক সভাপতি দেবাশীষ বিশ্বাস, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব গোলাম ফারুক স্বপন, সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব কামরুল হাসান রিপন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী আবু সাইদ। এছাড়াও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।