নাটোরে আত্মগোপনের ৪ বছর পর নারীকে উদ্ধার করেছে পিবিআই
- Update Time : ০৬:১৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুন ২০২২
- / ৪৪৩৪ Time View
শ্বশুড় বাড়ির নির্যাতন ও অত্যাচার এবং বাবা মায়ের অসহযোগিরতার কারণে নাটোরে আত্মগোপনে থাকা আসমানি খাতুন নামে এক গৃহবধূকে ৪ বছর পর উদ্ধার করেছে পিবিআই। সে নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের শিবদুর গ্রামের দুলাল হোসেনের স্ত্রী। বুধবার(১ জুন) সকালে পিবিআই নাটোর কার্যালয়ে উদ্ধারকৃত ওই নারীকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করে প্রেস ব্রিফিং করেন পিবিআই পুলিশ সুপার মোঃ শরিফ উদ্দিন।
শরিফ উদ্দীন জানান, ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারী আসমানির বাবা আকবর আলী বাদী হয়ে আসমানীর স্বামী , পিতা মাতা ও ভাই বোনসহ ৫ জনকে আসামী করে নাটোর থানায় একটি গুমের মামলা করেন। ওই মামলায় আসমানির শ্বশুড়কে আটকও করে পুলিশ।
মামলাটি প্রায় ২ বছর পুলিশের নিকট তদন্তাধীন থাকার পর আদালত স্ব-প্রণোদিত হয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআই নাটোর জেলাকে নির্দেশ প্রদান করেন। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সাইদুর রহমান মামলার তদন্তভার গ্রহন করে কাজ শুরু করেন।
পিবিআই পুলিশ সুপার জানান, একপর্যায়ে মামলার বাদী তার মেয়েকে ফিরে পাওয়ার আশা হারিয়ে ফেলেন এবং তার মেয়ে এতদিন জীবিত নাই এমন ধারনাই পোষন করেন। এমনকি বাদী বিবাদীদের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করবেন না এমন মনোভাবও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট প্রকাশ করেন। পিবিআই প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও নানা কৌশল অবলম্বন করে জানতে পারেন, ভিকটিম আসমানী গাজীপুরের একটি গার্মেন্টস এ কর্মরত আছে। পরে টিম পিবিআই নাটোরের সফল অভিযানের মাধ্যমে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, শ্বশুড় বাড়ীর লোকজনের অমানবিক আচরন থাকা সত্ত্বেও স্বামীর সংসার করার জন্য সকল অত্যাচার মেনে নিতে পিতামাতার চাপের কারনে সে কাউকে কিছু না বলে ৪ বছর পূর্বে শ্বশুরবাড়ী হতে চলে যায় পরে ক্ষোভ ও অভিমানে কারো সাথে যোগাযোগ না করে গার্মেন্টেসে চাকুরি করে জীবন নির্বাহ করছিলেন। এদিকে, বিকেলে তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়।