Dhaka ০১:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Breaking News :
Logo ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন: আটক-১ Logo ফরিদপুরে আদম ব্যবসায়ীর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন। Logo খুলনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাদিউজ্জামান হাদির জানাযায় আজিজুল বারী হেলাল। Logo মানিকগঞ্জে চরে বিএনপি’র ঐক্য ও শান্তি সমাবেশ Logo বিষ খাইয়ে প্রতিবন্ধী শিশু সন্তানকে মা-বাবা হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার Logo চল্লিশ বছর পর বাংলাদেশ থেকে নিজ দেশে ফিরলো নিপালী নাগরিক Logo চাঁদপুরের কচুয়ায় আগুনে পুড়ল ২০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান Logo কেরুজ চিনিকলে চাকরি স্থায়ীকরণে অনিয়মের অভিযোগ : কেরুর এমডি’কে লিখিত ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ সদর দপ্তরের: অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা Logo পাবনার ভাঁড়ারার চেয়ারম্যান সুলতান গ্রেফতার Logo চাটমোহরে উদ্যোক্তাদের তৈরিকৃত স্বাস্থ্যসম্মত সরিষার তেল বিক্রয় প্রসারে বাজার সংযোগ সভা

ঠাকুরগাঁওয়ে শীতজনীত রোগে আক্রান্ত প্রায় ৮০ শতাংশ শিশুরা

মাসুদ রানা পলক
  • Update Time : ০১:১৬:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৪৩৮ Time View

মাসুদ রানা পলক, ঠাকুরগাঁও:: ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা আধুনিক সদর হাসপাতালে দেখাগেছে দৈনিক গড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ জন ডায়রিয়া রোগী আসছে। চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাসায় ফিরছে।
পৌষের প্রকৃতিতে হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় বাড়ছে রোটাভাইরাসসহ বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাসজনিত ডায়রিয়ার সংক্রমণ। এ সময়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু।
চিকিৎসারা বলছেন, শীত মৌসুমে রোটাভাইরাসজনিত ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। এখন পৌষের শেষ দিকে শৈত্যপ্রবাহ ও উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে প্রকৃতিতে ঠান্ডা জেঁকে বসেছে। যেহেতু শীতকালে শিশুদের ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার জন্য দায়ী সংক্রামক ভাইরাস ‘রোটা’। ফলে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুরা এই ভাইরাসজনিত ডায়ারিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
আন্ততর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিআরবি) সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে দৈনিক গড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ জন ডায়রিয়া রোগী আসছে। তবে এই সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় স্বাভাবিক।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা দৈনিক ইনকিলাব প্রতিনিধি এস,কে মাসুদ রানাকে বলেন, দেশে সাধারণত প্রি-মনসুন তথা বর্ষার আগে (গ্রীষ্মকাল) ও শীত মৌসুমে রোটাভাইরাসজনিত ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। এখন পৌষের শেষ দিকে শৈত্যপ্রবাহ ও উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে প্রকৃতিতে ঠান্ডা জেঁকে বসেছে। যেহেতু শীতকালে শিশুদের ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার জন্য দায়ী সংক্রামক ভাইরাস ‘রোটা’। ফলে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুরা এই ভাইরাসজনিত ডায়ারিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ সাজ্জ্াদ হায়দার শাহীন জানিয়েছেন, ডায়রিয়া রোগ সাধারণত রোটা, সিজেলা, ডিসেন্ট্রি, ই-টেক ও কলেরাসহ বিভিন্ন ধরনের জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হয়। তবে শীতকালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ৭০ থেকে ৮০ ভাগই রোটাভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হয়। আমরা সাবক্ষনিক তাদের উন্নত সেবা দেবার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, রোটাভাইরাস মুখ দিয়েই শিশুদের পাকস্থলিতে প্রবেশ করে। বড়দের ক্ষেত্রে রোটা খুব একটা দুর্বল করতে পারে না। রোটাভাইরাস রোধ করতে শিশু কী খাচ্ছে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, রোটাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শরীরে এর প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। আক্রান্তদের উপসর্গ হিসাবে প্রথমে শুরু হয় বমি। এরপর খুব কম সময়ের মধ্যে ডায়রিয়া তীব্র আকার ধারণ করে এবং পানিশূন্যতা এত বেশি হয় যে, সময়মতো চিকিৎসা দেওয়া না গেলে প্রাণহানির আশঙ্কাও দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া সঙ্গে জ্বর ও পেট ব্যথাও থাকতে পারে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ডিসেম্বরে রোটাভাইরাস সহ বিভিন্ন শিশু রোগে ১হাজার ৭শত ৫০ জন শিশু চিকিৎসা নিয়েছে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা আধুৃনিক সদর হাসপাতালে। এর আগের বছর একই সময় চিকিৎসা নিয়েছিল দুই হাজার শিশু। নতুন বছরের প্রথম ১০ দিনে ভর্তি হয়েছে ৫শত ২১ জন শিশু। এছাড়াও ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা আধুৃনিক সদর হাসপাতালে অদ্যবধি শিশু রোগী ভর্তি আছে ৮শত ৫জন। পঞ্চগড়, বীরগঞ্জ, দশমাইল সহ জেলার ৫টি উপজেলা এবং দুইটি থানা থেকে প্রতিনিয়ত উন্নত সেবা নিতে এই হাসপাতালে রোগী আসছেন।

Tag :

অগ্রযাত্রা স্যাটেলাইট টেলিভিশন (এটিভি বাংলা) লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ২ নং শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ স্বরণী, রমনা, ঢাকা-১২১৭।
মোবাইল: ০১৬৪৬৪৪৪৫৩০

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ঠাকুরগাঁওয়ে শীতজনীত রোগে আক্রান্ত প্রায় ৮০ শতাংশ শিশুরা

Update Time : ০১:১৬:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪

মাসুদ রানা পলক, ঠাকুরগাঁও:: ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা আধুনিক সদর হাসপাতালে দেখাগেছে দৈনিক গড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ জন ডায়রিয়া রোগী আসছে। চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাসায় ফিরছে।
পৌষের প্রকৃতিতে হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় বাড়ছে রোটাভাইরাসসহ বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাসজনিত ডায়রিয়ার সংক্রমণ। এ সময়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু।
চিকিৎসারা বলছেন, শীত মৌসুমে রোটাভাইরাসজনিত ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। এখন পৌষের শেষ দিকে শৈত্যপ্রবাহ ও উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে প্রকৃতিতে ঠান্ডা জেঁকে বসেছে। যেহেতু শীতকালে শিশুদের ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার জন্য দায়ী সংক্রামক ভাইরাস ‘রোটা’। ফলে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুরা এই ভাইরাসজনিত ডায়ারিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
আন্ততর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিআরবি) সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে দৈনিক গড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ জন ডায়রিয়া রোগী আসছে। তবে এই সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় স্বাভাবিক।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা দৈনিক ইনকিলাব প্রতিনিধি এস,কে মাসুদ রানাকে বলেন, দেশে সাধারণত প্রি-মনসুন তথা বর্ষার আগে (গ্রীষ্মকাল) ও শীত মৌসুমে রোটাভাইরাসজনিত ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। এখন পৌষের শেষ দিকে শৈত্যপ্রবাহ ও উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে প্রকৃতিতে ঠান্ডা জেঁকে বসেছে। যেহেতু শীতকালে শিশুদের ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার জন্য দায়ী সংক্রামক ভাইরাস ‘রোটা’। ফলে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুরা এই ভাইরাসজনিত ডায়ারিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ সাজ্জ্াদ হায়দার শাহীন জানিয়েছেন, ডায়রিয়া রোগ সাধারণত রোটা, সিজেলা, ডিসেন্ট্রি, ই-টেক ও কলেরাসহ বিভিন্ন ধরনের জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হয়। তবে শীতকালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ৭০ থেকে ৮০ ভাগই রোটাভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হয়। আমরা সাবক্ষনিক তাদের উন্নত সেবা দেবার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, রোটাভাইরাস মুখ দিয়েই শিশুদের পাকস্থলিতে প্রবেশ করে। বড়দের ক্ষেত্রে রোটা খুব একটা দুর্বল করতে পারে না। রোটাভাইরাস রোধ করতে শিশু কী খাচ্ছে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, রোটাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শরীরে এর প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। আক্রান্তদের উপসর্গ হিসাবে প্রথমে শুরু হয় বমি। এরপর খুব কম সময়ের মধ্যে ডায়রিয়া তীব্র আকার ধারণ করে এবং পানিশূন্যতা এত বেশি হয় যে, সময়মতো চিকিৎসা দেওয়া না গেলে প্রাণহানির আশঙ্কাও দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া সঙ্গে জ্বর ও পেট ব্যথাও থাকতে পারে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ডিসেম্বরে রোটাভাইরাস সহ বিভিন্ন শিশু রোগে ১হাজার ৭শত ৫০ জন শিশু চিকিৎসা নিয়েছে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা আধুৃনিক সদর হাসপাতালে। এর আগের বছর একই সময় চিকিৎসা নিয়েছিল দুই হাজার শিশু। নতুন বছরের প্রথম ১০ দিনে ভর্তি হয়েছে ৫শত ২১ জন শিশু। এছাড়াও ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা আধুৃনিক সদর হাসপাতালে অদ্যবধি শিশু রোগী ভর্তি আছে ৮শত ৫জন। পঞ্চগড়, বীরগঞ্জ, দশমাইল সহ জেলার ৫টি উপজেলা এবং দুইটি থানা থেকে প্রতিনিয়ত উন্নত সেবা নিতে এই হাসপাতালে রোগী আসছেন।