টাঙ্গাইল, ধনবাড়ী থেকে মোহাম্মদ ইমাম হাসান (সোহান) :: টাঙ্গাইলের বিভিন্ন উপজেলায় কৃষকদের উৎপাদিত সকল ধরনের সবজির মূল্য কমতে কমতে সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। দুই থেকে পাঁচ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। করল্লা, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, বাঁধাকপি, টমেটো, কচু, লতা, ঢ়েড়স, ডাটা সহ সকল ধরনের সবজির উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু রমজান উপলক্ষে এসব সবজির চাহিদা কম থাকায় অনেক কম মূল্যে কৃষকেরা পাইকারি মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে । রমজানের শুরুতেও সকল ধরনের সবজির মূল্য আকাশচুম্বী ছিল । যে লাউ চল্লিশ টাকায় পাইকারি বিক্রি করতে পারতো তা এখন দশ টাকায় বিক্রি করা কষ্টকর । ষাট টাকার বেগুন এখন ক্রেতার অভাবে গবাদি পশুদের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করতে হচ্ছে অথবা ফেলে দিতে হচ্ছে । বেগুনের পাইকারি যে মূল্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে ফসল উত্তোলন খরচই উঠছে না । প্রায় একই অবস্থা লাউ , মিষ্টিকুমড়া , টমেটো, ঢেড়স , সহ অন্যান্য সবজির ক্ষেত্রে । করল্লা , কচু ,লতি , চিচিঙ্গা সহ গ্রীষ্মকালীন নতুন সবজির মূল্যও অনেক কম যা উৎপাদন খরচের সাথে সামঞ্জস্য না । এদিকে পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচ এবং আলু ত্রিশ টাকায় নেমে এসেছে । আর পেঁয়াজের মূল্য দিন দিন শুধু কমতেই আছে । সবজির এই মূল্যে ভোক্তা সাধারণ স্বস্তি প্রকাশ করলেও মাঠ পর্যায়ের কৃষকেরা চরম কষ্টের মধ্যে রমজান অতিবাহিত করছেন । কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে সামনে ঈদুল ফিতরে পরিবারের জন্য ভালো কিছু কেনাকাটা করা হয়তো সম্ভব হবে না সবজির এই মূল্য বিরাজমান থাকলে । অনেকেই ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করেছেন তাদের অবস্থা আরো শোচনীয় । টাঙ্গাইলে সকল উপজেলার বাজার গুলোতে সবজির মূল্য এই মুহূর্তে ক থাকলেও গরু-খাসির মাংস, সকল ধরনের মুরগি, মাছ, দুধ, মসলার মূল্যে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে । ডিমের চাহিদা কম থাকায় মূল্য নিম্নমুখী । বাজারে সঠিক তদারকির মাধ্যমে কৃষক এবং ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ রক্ষা করা সম্ভব বলে সচেতন মহল মনে করেন