উন্নয়ন বিরোধীদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না: সেতুমন্ত্রী
- Update Time : ০২:২০:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ অগাস্ট ২০২২
- / ৪৪৩৯ Time View
সোমবার, আগস্ট ১, ২০২২-ঢাকা: যারা দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে দেখতে চায়, উন্নয়ন বিরোধী এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতিভূ তাদের উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য দেশবাসী জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (১ আগস্ট) সচিবালয়ে তার দপ্তরে ব্রিফিংকালে দেশবাসী জনগণের প্রতি এ আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অর্থনৈতিক অবরোধ, আন্তর্জাতিক বাজারে তেল, গ্যাস, সারের মূল্য বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার নানামুখী সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশ অসহনীয় এবং আকাশচুম্বী মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে। উন্নত বিশ্বের মূল্যস্ফীতির হারের দিকে তাকালে বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের তীব্রতা টের পাওয়া যায়।
তিনি জানান, যেখানে জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ৯.১ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৯.৪ শতাংশ, জার্মানি ৮.৯ শতাংশ, রাশিয়া ১৫.৯ শতাংশ, তুরস্ক ৭৮.৬ শতাংশ, নেদারল্যান্ডে ৯.৪ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৩৯.৯ শতাংশ এবং পাকিস্তানে মুল্যস্ফীতি ২১.৩ শতাংশ সেখানে বাংলাদেশে জুন মাসে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৭.৫৬ শতাংশ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের ভেতরে অনেকে শুধু মূল্যস্ফীতির কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে। শেখ হাসিনা সরকারের সতর্কতামূলক উদ্যোগ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশের অবস্থাই তুলনামূলকভাবে সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট চলছে বলে একটি চিহ্নিত মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপপ্রচার করছে, বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে বৈশ্বিক করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের এ সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পৃথিবীর জ্বালানি সাপ্লাই চেইন অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে।
আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয়। পৃথিবীর প্রায় নব্বই শতাংশের বেশি দেশ প্রাথমিক জ্বালানির জন্য আমদানির ওপর নির্ভরশীল। আমদানিকারক দেশ হিসেবে এ পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও।
মন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে পশ্চিমা দেশগুলোসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই চলছে জ্বালানি সংকট। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য তারা ব্যাপকভাবে কমিয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহার। বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নেতিবাচক পড়েছে। অনেক উন্নত দেশেও বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। এর অনিবার্য প্রভাব পড়েছে অর্থনীতি এবং উৎপাদন ব্যবস্থায়।