Dhaka ১০:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Breaking News :
Logo ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন: আটক-১ Logo ফরিদপুরে আদম ব্যবসায়ীর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন। Logo খুলনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাদিউজ্জামান হাদির জানাযায় আজিজুল বারী হেলাল। Logo মানিকগঞ্জে চরে বিএনপি’র ঐক্য ও শান্তি সমাবেশ Logo বিষ খাইয়ে প্রতিবন্ধী শিশু সন্তানকে মা-বাবা হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার Logo চল্লিশ বছর পর বাংলাদেশ থেকে নিজ দেশে ফিরলো নিপালী নাগরিক Logo চাঁদপুরের কচুয়ায় আগুনে পুড়ল ২০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান Logo কেরুজ চিনিকলে চাকরি স্থায়ীকরণে অনিয়মের অভিযোগ : কেরুর এমডি’কে লিখিত ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ সদর দপ্তরের: অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা Logo পাবনার ভাঁড়ারার চেয়ারম্যান সুলতান গ্রেফতার Logo চাটমোহরে উদ্যোক্তাদের তৈরিকৃত স্বাস্থ্যসম্মত সরিষার তেল বিক্রয় প্রসারে বাজার সংযোগ সভা

আরেক ছুটির ঘণ্টা, স্কুলের টয়লেটে ছাত্র রুদ্ধশ্বাস ৬ ঘণ্টা!

ডেস্ক এডিটর
  • Update Time : ১২:১৬:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
  • / ৪৪০১ Time View

মাদারীপুর থেকে  মাসুদ রেজা ফিরোজী :: ক্লাস ছুটির পর সবাই বাড়ি গেলেও বিদ্যালয়ের বাথরুমে প্রথম শ্রেণির এক ছাত্র আটকা পড়ায় সে বাড়ি ফিরতে
পারেনি। ওই শিশু দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা বাথরুমের দরজা ধাক্কাধাক্কি করার পরে অবশেষে রুদ্ধশ্বাস অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে বের হতে পারে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের ৯নং পাঁচখোলা বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী ও ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানা যায়,পাঁচখোলা এলাকার মৃত্যু নুরুল হকের ছেলে রাফিন ৯নং পাঁচখোলা বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির একজন ছাত্র। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রতিদিনের ন্যায় স্কুলে গিয়েছিলেন রাফিন। তখন তাদের বিদ্যালয় পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা শেষ করে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যালয় ছুটির পর সে টয়লেটে যায়।পরে দপ্তরি খোকন খান টয়লেট চেক না করেই বাহির থেকে রশি দিয়ে আটকিয়ে দিয়ে চলে যান।পরে শিশুটি দরজাটি খোলার জন্য ডাক চিকিৎসার করলেও তখন কোনো সাড়া মেলেনি। এ সময় বারবার দরজা খোলার জন্য চিৎকার করায় শিশুটির গলা ও মুখ রক্তাক্ত হয়ে যায়। পরে প্রায় ছয় ঘণ্টা পর শিশুটি দরজা ধাক্কাধাক্কি করলে একপর্যায় টয়লেটের দরজাটি খুলতে সক্ষম হয়েছে। এদিকে ছুটির পর শিশুটি শিশু নিবাসে না ফেরার কারণে শিশু নিবাসের কর্মকর্তারা বিভিন্ন ছাত্র ও আত্মীয়ের বাড়িতে খুঁজতে থাকেন। এদিকে সন্ধ্যা ৬টার পর বিদ্যালয়ের তিনতলা থেকে একটি মুদি দোকানদারকে বিদ্যালয়ের কেচি গেট খোলার কথা বলে পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে কয়েকজন মিলে শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে শিশুনির্বাসে নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী এ ঘটনাকে ১৯৮০ সালের শিশুতোষ চলচ্চিত্র ছুটির ঘণ্টার সঙ্গে তুলনা করে বলেন, সেখানে ৬ ঘণ্টা পর স্কুলের বাথরুম থেকে জীবিত উদ্ধার হলো ছাত্রটিকে। আর কিছু সময় হলেই ছুটির ঘণ্টা বেজে যেত শিশুটির। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে ওই ছাত্রের নিবাসে গেলে সে তার ভাষায় গতকালের ঘটনা বোঝানোর চেষ্টা করলেও শিশু নিবাসের পরিচালক বাতেন খান শিশুটির সাথে কথা বলতে বাধা প্রধান করেন। তবে কারণে শিশুটির বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
দোকানদার বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাথরুমের আটকা পড়ে রয়েছে। কোনো মতেই দরজা খুলে তিন তালার বেলকনি থেকে আমাদের ডাক দেয় পরে আমরা তাকে গিয়ে উদ্ধার করি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রওশন আরা বেগম বলেন, ঐদিন আমি একটা মিটিংয়ে ছিলাম। বের হওয়ার আগ পর্যন্ত এমন কিছু তার নজরে পড়েনি। আমি পরে জানতে পেরেছি। বিষয়টির সাথে কে জড়িত রয়েছে তদন্ত করা হবে। মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল মামুন বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি যদি এরকম কিছু হয়ে থাকে তদন্ত সাপে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

অগ্রযাত্রা স্যাটেলাইট টেলিভিশন (এটিভি বাংলা) লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ২ নং শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ স্বরণী, রমনা, ঢাকা-১২১৭।
মোবাইল: ০১৬৪৬৪৪৪৫৩০

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আরেক ছুটির ঘণ্টা, স্কুলের টয়লেটে ছাত্র রুদ্ধশ্বাস ৬ ঘণ্টা!

Update Time : ১২:১৬:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

মাদারীপুর থেকে  মাসুদ রেজা ফিরোজী :: ক্লাস ছুটির পর সবাই বাড়ি গেলেও বিদ্যালয়ের বাথরুমে প্রথম শ্রেণির এক ছাত্র আটকা পড়ায় সে বাড়ি ফিরতে
পারেনি। ওই শিশু দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা বাথরুমের দরজা ধাক্কাধাক্কি করার পরে অবশেষে রুদ্ধশ্বাস অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে বের হতে পারে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের ৯নং পাঁচখোলা বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী ও ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানা যায়,পাঁচখোলা এলাকার মৃত্যু নুরুল হকের ছেলে রাফিন ৯নং পাঁচখোলা বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির একজন ছাত্র। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রতিদিনের ন্যায় স্কুলে গিয়েছিলেন রাফিন। তখন তাদের বিদ্যালয় পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা শেষ করে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যালয় ছুটির পর সে টয়লেটে যায়।পরে দপ্তরি খোকন খান টয়লেট চেক না করেই বাহির থেকে রশি দিয়ে আটকিয়ে দিয়ে চলে যান।পরে শিশুটি দরজাটি খোলার জন্য ডাক চিকিৎসার করলেও তখন কোনো সাড়া মেলেনি। এ সময় বারবার দরজা খোলার জন্য চিৎকার করায় শিশুটির গলা ও মুখ রক্তাক্ত হয়ে যায়। পরে প্রায় ছয় ঘণ্টা পর শিশুটি দরজা ধাক্কাধাক্কি করলে একপর্যায় টয়লেটের দরজাটি খুলতে সক্ষম হয়েছে। এদিকে ছুটির পর শিশুটি শিশু নিবাসে না ফেরার কারণে শিশু নিবাসের কর্মকর্তারা বিভিন্ন ছাত্র ও আত্মীয়ের বাড়িতে খুঁজতে থাকেন। এদিকে সন্ধ্যা ৬টার পর বিদ্যালয়ের তিনতলা থেকে একটি মুদি দোকানদারকে বিদ্যালয়ের কেচি গেট খোলার কথা বলে পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে কয়েকজন মিলে শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে শিশুনির্বাসে নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী এ ঘটনাকে ১৯৮০ সালের শিশুতোষ চলচ্চিত্র ছুটির ঘণ্টার সঙ্গে তুলনা করে বলেন, সেখানে ৬ ঘণ্টা পর স্কুলের বাথরুম থেকে জীবিত উদ্ধার হলো ছাত্রটিকে। আর কিছু সময় হলেই ছুটির ঘণ্টা বেজে যেত শিশুটির। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে ওই ছাত্রের নিবাসে গেলে সে তার ভাষায় গতকালের ঘটনা বোঝানোর চেষ্টা করলেও শিশু নিবাসের পরিচালক বাতেন খান শিশুটির সাথে কথা বলতে বাধা প্রধান করেন। তবে কারণে শিশুটির বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
দোকানদার বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাথরুমের আটকা পড়ে রয়েছে। কোনো মতেই দরজা খুলে তিন তালার বেলকনি থেকে আমাদের ডাক দেয় পরে আমরা তাকে গিয়ে উদ্ধার করি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রওশন আরা বেগম বলেন, ঐদিন আমি একটা মিটিংয়ে ছিলাম। বের হওয়ার আগ পর্যন্ত এমন কিছু তার নজরে পড়েনি। আমি পরে জানতে পেরেছি। বিষয়টির সাথে কে জড়িত রয়েছে তদন্ত করা হবে। মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল মামুন বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি যদি এরকম কিছু হয়ে থাকে তদন্ত সাপে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।